Press Details

চিটাগাং চেম্বারে ট্রেড পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রাম’র সেমিনার অনুষ্ঠিত
28-Jul-13

চিটাগাং চেম্বারে ট্রেড পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রাম’র সেমিনার অনুষ্ঠিত ঃ
দু’মাসের মধ্যে সমন্বিত বাণিজ্য নীতির খসড়া প্রণয়ন

একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে “বাংলাদেশ ট্রেড পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রাম” প্রকল্প ২০১১ সাল থেকে কাজ করছে। এ প্রকল্পের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করার লক্ষ্যে এক সেমিনার ২৪ জুলাই সকালে চিটাগাং চেম্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিটিপিএসপি’র প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মোঃ ফজলুল হক, ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম, টিম লিডার ডেভিড ফেনিং, কী এক্সপার্ট-২ খ্রীস্টোফার ব্রক্সহোম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোঃ রবিউল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার ড. জুলিয়া মঈন, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, এম. এ. মোতালেব, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও  মোঃ জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সারোয়ার জাহান, ইপিবি’র পরিচালক, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, এগ্রো শিল্প, ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এবং চামড়া ও ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্পের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চেম্বার সচিব ওসমান গণি চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। তিনি এ ঘাটতি পুরণের পাশাপাশি সফল বাণিজ্য নীতি প্রণয়নে মন্ত্রণালয়সমূহ ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মাহবুবুল আলম তৈরী পোশাক খাতে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রায় ৬৯% পণ্যের গন্তব্যস্থল ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন’র সহায়তায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে মত প্রকাশ করেন। 

প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মোঃ ফজলুল হক এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএফটিআই ও ইপিবি’র দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সক্ষমতা ঘাটতি অনেকটা পুরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।  তিনি এ প্রকল্পের অধীনে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে রপ্তানীকৃত পণ্যের জিএসপি সার্টিফিকেট ইস্যু করার পদ্ধতি অটোমেশন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে এ প্রক্রিয়া শেষে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এ সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে বলে জানান।  

সেমিনারে ডেভিড ফেনিং এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমন্বিত বাণিজ্য নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএফটিআই ও ইপিবি’র সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গৃহীত কার্যক্রম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। খ্রীস্টোফার ব্রক্সহোম ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামকে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বি উল্লেখ করে জিএসপি সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলের আরো বেশী সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। সমন্বিত বাণিজ্য নীতির খসড়া আগামী দু’মাসের মধ্যে তৈরী হওয়ার পর এ ধরণের সেমিনারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করা হবে বলে এ সময় উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. সালাম জানান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেক্টরের উপস্থিত নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 
নং-আই/আইএনডি/৩৩/১৩১০                                                             ২৪ জুলাই, ২০১৩ ইং

সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা, সংবাদ সংস্থাসমূহ, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহে সম্প্রচার/প্রকাশের সবিনয় অনুরোধপূর্বক প্রেরণ করা গেলঃ                                                                                                                                      
                                                                                                                                                                  (ওসমান গণি চৌধুরী)
           সচিব