Press Details

অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকায় “লাইটার জাহাজযোগে অভ্যন্তরীণ রুটে পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০১৩” বাস্তবায়ন না করতে চিটাগাং চেম্বারের আহবান
24-Jul-13

 

অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকায় “লাইটার জাহাজযোগে অভ্যন্তরীণ রুটে 
পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০১৩” বাস্তবায়ন না করতে চিটাগাং চেম্বারের আহবান 
অতি সম্প্রতি ডিজি শিপিং এর নেতৃত্বে “সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরে অধিভূক্ত লাইটার জাহাজযোগে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০১৩” নামে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সেক্টরে বর্তমানে বিদ্যমান শৃংখলা নষ্ট হওয়া এবং অরাজকতা সৃষ্টির আশংকায় এই নীতিমালা বাস্তবায়ন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর প্রতি ২০ জুলাই এক জরুরী পত্রের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন। পত্রে তিনি বলেন-চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল বহির্নোঙ্গরে অবস্থানকারী মাদার ভেসেল থেকে খালাস করে সারাদেশে নৌ-পথে লাইটারযোগে পরিবহন করা হয়। ২০০৯ সালে এ সেক্টরের কিছু অসাধু নেতৃবৃন্দ ডব্লিউটিসি (ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল) নামক সংগঠনের জন্ম দিয়ে টন প্রতি পণ্য পরিবহন ভাড়া ২৫০/- টাকা থেকে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে ৫০৩/- টাকা নির্ধারণ করে যা ভোক্তাসাধারণকেই পরিশোধের পাশাপাশি পণ্যমূল্য ও বৃদ্ধি করছে। 
এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি ও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে শিল্প মালিকরা নিজ উদ্যোগে কয়েকগুণ বেশী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লাইটারেজ জাহাজ নির্মাণ করেন। এর ফলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে পরিবহন ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোন প্রকার মতবিনিময় বা পরামর্শ না করে ডিজি শিপিং কর্তৃক প্রণীত এই নীতিমালায় আমদানিকৃত পণ্যের ৫০% ডব্লিউটিসি নিয়ন্ত্রাধীন জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন বাধ্যতামূলক করার বিধান রাখার ফলে এ সেক্টরে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি হবে এবং এতে করে পরিবহন ব্যয় ও পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মাহবুবুল আলম আশংকা প্রকাশ করেন। 
মূলতঃ তৃতীয় পক্ষের অরাজকতা ও দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষা পেতেই শিল্প মালিকরা নিজস্ব কোষ্টারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের প্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর যাবৎ এ সেক্টরে শৃংখলা ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হলে এ সেক্টরে অস্থিতিশীলতা শুরু হবে যা অন্যান্য সেক্টরেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে চেম্বার সভাপতি উল্লেখ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক করার মাধ্যমে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রকের পরিবর্তে ফ্যাসিলিটেটর’র ভূমিকা পালন করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মাদার ভেসেল থেকে কোষ্টারযোগে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং শৃংখলা অক্ষুন্ন রাখা, সম্ভাব্য অরাজকতা ও বিশৃংখলা থেকে এ সেক্টরকে রক্ষা এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য অধিকতর অনুকূল করণসহ দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়ন বা কার্যকর না করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নৌ-মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।  
নং-সি/পিবিএসি/২/১২৬৯                           ২০ জুলাই ২০১৩ ইং
সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসমূহ ও রেডিওতে সম্প্রচার/প্রকাশের সবিনয় অনুরোধপূর্বক প্রেরণ করা গেলঃ 
                                                                                                                                                                                                       
         (ওসমান গণি চৌধুরী)
                                                                                                    সচিব

অরাজকতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকায় “লাইটার জাহাজযোগে অভ্যন্তরীণ রুটে 

পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০১৩” বাস্তবায়ন না করতে চিটাগাং চেম্বারের আহবান 

 

অতি সম্প্রতি ডিজি শিপিং এর নেতৃত্বে “সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরে অধিভূক্ত লাইটার জাহাজযোগে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহে পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০১৩” নামে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সেক্টরে বর্তমানে বিদ্যমান শৃংখলা নষ্ট হওয়া এবং অরাজকতা সৃষ্টির আশংকায় এই নীতিমালা বাস্তবায়ন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর প্রতি ২০ জুলাই এক জরুরী পত্রের মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন। পত্রে তিনি বলেন-চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল বহির্নোঙ্গরে অবস্থানকারী মাদার ভেসেল থেকে খালাস করে সারাদেশে নৌ-পথে লাইটারযোগে পরিবহন করা হয়। ২০০৯ সালে এ সেক্টরের কিছু অসাধু নেতৃবৃন্দ ডব্লিউটিসি (ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল) নামক সংগঠনের জন্ম দিয়ে টন প্রতি পণ্য পরিবহন ভাড়া ২৫০/- টাকা থেকে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করে ৫০৩/- টাকা নির্ধারণ করে যা ভোক্তাসাধারণকেই পরিশোধের পাশাপাশি পণ্যমূল্য ও বৃদ্ধি করছে। 

 

এই অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি ও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে শিল্প মালিকরা নিজ উদ্যোগে কয়েকগুণ বেশী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন লাইটারেজ জাহাজ নির্মাণ করেন। এর ফলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে পরিবহন ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের সাথে কোন প্রকার মতবিনিময় বা পরামর্শ না করে ডিজি শিপিং কর্তৃক প্রণীত এই নীতিমালায় আমদানিকৃত পণ্যের ৫০% ডব্লিউটিসি নিয়ন্ত্রাধীন জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন বাধ্যতামূলক করার বিধান রাখার ফলে এ সেক্টরে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি হবে এবং এতে করে পরিবহন ব্যয় ও পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মাহবুবুল আলম আশংকা প্রকাশ করেন। 

 

মূলতঃ তৃতীয় পক্ষের অরাজকতা ও দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষা পেতেই শিল্প মালিকরা নিজস্ব কোষ্টারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের প্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর যাবৎ এ সেক্টরে শৃংখলা ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হলে এ সেক্টরে অস্থিতিশীলতা শুরু হবে যা অন্যান্য সেক্টরেও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে চেম্বার সভাপতি উল্লেখ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতামূলক করার মাধ্যমে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রকের পরিবর্তে ফ্যাসিলিটেটর’র ভূমিকা পালন করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মাদার ভেসেল থেকে কোষ্টারযোগে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং শৃংখলা অক্ষুন্ন রাখা, সম্ভাব্য অরাজকতা ও বিশৃংখলা থেকে এ সেক্টরকে রক্ষা এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য অধিকতর অনুকূল করণসহ দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়ন বা কার্যকর না করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নৌ-মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।  

 

নং-সি/পিবিএসি/২/১২৬৯                           ২০ জুলাই ২০১৩ ইং

 

সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসমূহ ও রেডিওতে সম্প্রচার/প্রকাশের সবিনয় অনুরোধপূর্বক প্রেরণ করা গেলঃ 

                                                                                                                                                                                                       

         (ওসমান গণি চৌধুরী)

                  সচিব