সরকার ও ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব যৌক্তিক দামে ভোক্তাদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিশ্চিত করা ঃ চিটাগাং চেম্বারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ
২৫ আগস্ট বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে চিটাগাং চেম্বার মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তাগণ ভোক্তাদের নিকট যৌক্তিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া সরকার ও ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ১৭-২০ লক্ষ টন চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে পেঁয়াজের মজুদ প্রায় ২৪ লাখ টন উল্লেখ করে কোন কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জরুরী ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা ও উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পাইকারী বাজারের দামের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে খুচরা বাজারে সরকারী মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং কোরবানীকে সামনে রেখে কোন অসাধু সিন্ডিকেট কর্তৃক পেঁয়াজসহ আদা ও মশলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকটরোধে সকলের সহযোগিতায় কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ পাইপ লাইনে আরো পেঁয়াজ আসছে তা গণমাধ্যমে প্রচার, চেম্বার ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাসে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় বলেন-নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও বাজারজাতকরণ ব্যবসায়ীদের কাজ এবং সরকার এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি শুধুমাত্র একটি উৎসের উপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস হতে পণ্য আমদানির উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অতি শীঘ্রই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল এ প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সফর করবে বলে উল্লেখ করেন। টিসিবি’র পরিচালক আবু সৈয়দ এম হাশিম বলেন-বর্তমানে যে উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ আছে তা দিয়ে আগামী ৩ মাসের চাহিদা পূরণ সম্ভব। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে তিনি আমদানি পর্যায় থেকে খুচরা বাজারে বিক্রির মধ্যে কোথাও সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেন।
সভায় পেঁয়াজ, আদা, রসুন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এতে ফজল করিম বলেন-পেঁয়াজ আমদানি করতে ৬০% এলসি মার্জিন দিতে হয়। তাছাড়া অন্যান্য পেঁয়াজ আমদানিকারক দেশের মত কন্টাক্ট’র মাধ্যমে আমদানি প্রক্রিয়া বিবেচনার প্রস্তাব করেন। মোঃ আবসার উদ্দিন বলেন-পেঁয়াজের চট্টগ্রামভিত্তিক কোন আমদানিকারক নেই, কেবল আড়ৎদার আছেন। পেঁয়াজ পঁচনশীল পণ্য বিধায় এর গুদামজাতকরণ বা সিন্ডিকেশন এর কোন সুযোগ নেই। তিনি পেঁয়াজের মৌসুমে দেশে পেঁয়াজ সংগ্রহের মাধ্যমে তা কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার প্রস্তাব করেন। মোঃ ইদ্রিস বলেন-ভারতের কয়েকটি মোকাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানির উপর প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও বর্তমানে মিয়ানমার, মিশর, চীন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, এম. এ. মোতালেব, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এডিসি (জেনারেল) এস. এম. আবদুল কাদের, সিএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোঃ সুজায়েত ইসলাম, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ক্যাব, বিএসটিআই ও চসিক প্রতিনিধি, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নং-এল/ভিএম/৬/১৪৫৬ ২৫ আগস্ট, ২০১৩ ইং
সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা, সংবাদ সংস্থাসমূহ, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহে সম্প্রচার/প্রকাশের সবিনয় অনুরোধপূর্বক প্রেরণ করা গেলঃ (ওসমান গণি চৌধুরী) সচিব |