সংশোধিত
চিটাগাং চেম্বারে “বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতাই দেশের অগ্রসরমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল” গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ঃ বন্দর ও কাস্টম মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে “বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতাই দেশের অগ্রসরমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেকাংশে নির্ভরশীল” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক ২ সেপ্টেম্বর চেম্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চিটাগাং চেম্বারের নেতৃত্বে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে “বন্দর ও কাস্টম মনিটরিং সেল” গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, ছৈয়দ ছগীর আহমেদ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ জাহাঙ্গীর, প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুল হক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন, শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন, এমএলও, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন, মাস্টার স্টীভিডোর্স এসোসিয়েশন, বারভিডা, বিজিএপিএমইএ, ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বন্দর ট্রাক মালিক ও কন্ট্রাক্টর এসোসিয়েশন, প্রাইম মুভার ওনার্স এসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে এম. এ. লতিফ এমপি বন্দর সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করার ফলে এডভাইজরী কমিটি বিলুপ্ত প্রায় উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করে সাপ্তাহিক সভার মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম তদারকি ও অপারেশনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করার লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি ২০১০-২০১৩ সালের জন্য মাত্র ২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকায় অপারেটর নিয়োগ দেয়া হলেও ২০১৩ সালের মে মাস থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৬টি প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ১৯ কোটি টাকায় কার্যাদেশ দেয়ার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে দেশের বৃহত্তর অর্থনীতির স্বার্থে ৫৬ জন হ্যান্ডলিং অপারেটরের সবাইকে টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান। সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উল্লেখিত ১৯ কোটি টাকার এক তৃতীয়াংশে অপারেটর নিয়োগ দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে বলে এম. এ. লতিফ এমপি অভিমত ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-দেশের অগ্রসরমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮০-৯০% কার্যক্রম চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় বিধায় সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম নির্বিঘœভাবে অব্যাহত রাখা এবং কার্যক্রমের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মধ্যে বৈষম্যমূলক ট্যারিফ প্রত্যাহার করে সমহারে পুনঃনির্ধারনের আহবান জানান এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করার ঘোষণা দেন।
বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন বন্দর মূলত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হলেও রাজস্ব আদায়ের নামে বিভিন্ন চার্জ আরোপ করা হচ্ছে। ৬ জন কন্টেইনার অপারেটর ও ৬ জন কার্গো অপারেটর’র নিকট পুরো বন্দর জিম্মি হয়ে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবসায়ীদের একতাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র পরিচালক অঞ্জন শেখর রায়, সিএন্ডএফ সভাপতি এ. কে. এম. আক্তার হোসেন সাঃ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী (বাচ্চু), বিকেএমইএ’র শওকত ওসমান, বারভিডার সেক্রেটারী জেনারেল মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবুর), বিএসএএ’র সাহেদ সরোয়ার, বিএমএসএ’র চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম, বাফা পরিচালক অমিয় শংকর বর্মন ও খায়রুল আলম সুজন, সিএমএ সিজিএম’র ওয়াহিদুল আলম, বিজিএপিএমইএ’র খন্দকার লতিফুর রহমান, ইস্পাহানী গ্র“পের জিএম মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ ও জিপিএইচ ইস্পাত’র সিইও কামরুল ইসলাম।
নং-সি/পিবিএসি/২/১৫০৯ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং
সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা, সংবাদ সংস্থাসমূহ, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহে সম্প্রচার/প্রকাশের সবিনয় অনুরোধপূর্বক প্রেরণ করা গেলঃ (ওসমান গণি চৌধুরী) সচিব |